কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার মৌটুপি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সরকারের বংশ ও কর্তা বংশের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার বিকেলে পূর্বশত্রুতার জেরে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও, গুরুতর আহত মোহাম্মদ উল্লাহ (৩৫) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি আহতরা ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ সংঘর্ষ নতুন নয়; দীর্ঘ ৬৬ বছরের দ্বন্দ্বের অংশ হিসেবে এর আগেও মৌটুপি গ্রামে একাধিক সংঘর্ষ ও প্রাণহানি ঘটেছে। চলতি বছরের ১ নভেম্বর ও ১৪ সেপ্টেম্বরও সংঘর্ষে দুজন নিহত এবং অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পুলিশের তথ্য মতে, এই দ্বন্দ্বে এখন পর্যন্ত ১১ জন নিহত হয়েছেন এবং কয়েকশ’ ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ বলেন, ‘‘এই সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র, দা, লাঠি, বল্লম, ইটপাটকেল ব্যবহার করা হয়। দুই পক্ষের মধ্যে বারবার সংঘর্ষ বাধে, যার কারণে গ্রামের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।’’ তিনি আরও জানান, দুই বংশের লোকজন একে অপরের বাড়িঘর ভাঙচুর এবং লুটপাটের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে।
মৌটুপি গ্রামে সরকার বংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. সাফায়েত উল্লাহ, এবং কর্তা বংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মো. তোফাজ্জল হক। এই দীর্ঘমেয়াদী দ্বন্দ্বের ফলে এখন পর্যন্ত ৭০০-রও বেশি মানুষ বিভিন্ন মামলার আসামি হয়েছেন।