বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বগুড়ায় জেইউবির প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের জার্সি ও ক্যাপ উন্মোচন বাংলাদেশের সামনে আইরিশদের বড় চ্যালেঞ্জ শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি আইনজীবী সাইফুল হত্যা: প্রধান আসামি চন্দন ভৈরবে গ্রেপ্তার নিকলী ও করিমগঞ্জে জলমহালে বিষ প্রয়োগ, দুই কোটি টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ কাহার আকন্দের উত্থান ও পতন: পুলিশ থেকে রাজনীতি, এক বিতর্কিত যাত্রা বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন তদন্ত: কাদির মোল্লার ব্যবসায়িক হিসাব ও ঋণের অনুসন্ধান গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পে মাদারীপুরে মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত রায়পুর পৌরসভায় নাগরিক সেবায় চরম অব্যবস্থাপনা সড়ক সংস্কারের দাবিতে কিশোরগঞ্জে এক কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন ও অবরোধ

কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়া ১২টি বাস আটক

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কথিত “অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ” শীর্ষক সমাবেশে যোগ দিতে কিশোরগঞ্জের নিকলী ও বাজিতপুর থেকে যাওয়া ১২টি বাস আটকের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় ছাত্রজনতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় এ বাসগুলো আটকা পড়ে।

সোমবার বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া বাজারে আটটি বাস এবং ঢাকায় পৌঁছানোর পর আরও চারটি বাস সেনা সদস্যরা আটক করে। এসব বাসে থাকা যাত্রীরা দাবি করেছেন, ঢাকায় একটি সমাবেশে যোগ দিলে তাদের সুদবিহীন ঋণসহ আর্থিক সচ্ছলতার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল।

নিকলী ও বাজিতপুরের বিভিন্ন গ্রামের নারীরা জানান, একটি চক্র ঢাকায় প্রশিক্ষণের পর ১-২ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রতি ব্যক্তির কাছ থেকে ৬০০ টাকা অগ্রিম নেওয়া হয়। চক্রটি “অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ” নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে লিফলেট বিলি করেছিল, যেখানে সংগঠনের আহ্বায়ক আ.ব.ম মোস্তাফা আমিনের ছবি ছিল।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য জহির আহমেদ জানান, তিনি ১০ জন নারীকে ঢাকায় যাওয়ার বিষয়টি বুঝিয়ে ফেরত পাঠান। অন্যদিকে নামা বাজারের দোকানি লায়েছ মিয়া বলেন, “সকালে প্রায় ৭-৮শ’ নারীকে নদী পার হয়ে বাসে ওঠার প্রস্তুতি নিতে দেখেছি।”

চক্রটি নারীদের জানায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে প্রস্তাব দেওয়া হবে, যাতে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে এনে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে ঋণ দেওয়া হবে। চক্রটি এ প্রলোভনের আড়ালে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র করছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি শামসুজ্জামান চৌধুরী ওরফে ইয়ার খাঁন জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন এবং নিজেও নদী পারাপারের দৃশ্য দেখেছেন। তবে এ পরিকল্পনার সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছেন। এলাকাবাসীর দাবি, উপরমহলের কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।

বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারাশিদ বিন এনাম ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটক বাস এবং চক্রটির কার্যক্রম নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী আরিফ জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন এবং পুলিশ ও সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করছে।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী ও নিকলীর ইউএনও পাপিয়া আক্তারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনার পেছনে কারা জড়িত এবং তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য কী, তা জানতে প্রশাসনের তদন্ত চলছে। এলাকাবাসী ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page