বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সংসদীয় আসনভিত্তিক নির্বাচনের পরিবর্তে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চায়। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রস্তাব দিয়েছে দলটি। এছাড়া নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল; দু’বারের বেশি কোনো ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ না রাখা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন ও দলীয় প্রতীক ব্যবহার পদ্ধতি বাতিল করার প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত।সোমবার জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার স্বাক্ষরিত সংস্কার প্রস্তাব নির্বাচন কমিশন-ইসি সংস্কার কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হয়। লিখিত প্রস্তাবনায় ২২টি বিষয় উল্লেখ করেছে দলটি। জামায়াতের প্রস্তাবনায় বলা হয়- নির্বাচনের অংশীজন হিসেবে অবাধ, অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তারা দলনিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়।
জামায়াতের ২২ দফা সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করা। ইভিএম পদ্ধতি বাতিল করা। ভোটার তালিকা হতে মৃত ও ভুয়া ভোটার বাদ দিয়ে গ্রহণযোগ্য, নির্ভুল ও হালনাগাদ ভোটার তালিকা তৈরি করা। জাতীয় সংসদে অধিকতর দল ও মতের অংশগ্রহণ নিশ্চিতে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (চৎড়ঢ়ড়ৎঃরড়হধষ জবঢ়ৎবংবহঃধঃরড়হ) পদ্ধতি চালু করা। দুই বারের বেশি কোনো ব্যক্তির প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ না রাখা। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন ও দলীয় প্রতীক ব্যবহারের পদ্ধতি বাতিল করাসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি তার চাকরি বা পদ হতে অব্যাহতি বা দায়িত্বমুক্ত হওয়ার পর তিন বছর অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ না রাখা। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন বাতিল করা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্য কোনো নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মোতাবেক রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সেনাবাহিনী মোতায়েনের সুযোগ রাখা (এক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সেনা মোতায়েনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রাখা যাবে না)। নির্বাচনে মোতায়েনকৃত সেনাবাহিনীকে নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করা এবং প্রয়োজনবোধে উক্ত সেনাসদস্যদেরকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদানের ব্যবস্থা রাখা।