নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ১২ ডিসেম্বর মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪৫তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৮০ সালের এই দিনে সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার স্মরণে পৃথক বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মওলানা ভাসানীর শৈশব কেটেছে সিরাজগঞ্জে, তবে তার জীবনের অধিকাংশ সময় কাটে টাঙ্গাইলের সন্তোষে। কৈশোর থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
মজলুম জননেতা ভাসানী দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তির জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
১৮৯৭ সালে পীর সৈয়দ নাসীরুদ্দীনের সঙ্গে আসাম যান ভাসানী। ইসলামি শিক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯০৭ সালে দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন এবং ১৯০৯ সালে আসামে ফিরে আসেন। ১৯১৭ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
মওলানা ভাসানী তার কর্ম ও আদর্শের মাধ্যমে আজও দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের অনুপ্রেরণা হিসেবে স্মরণীয়। তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।