পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীতে ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হয়েছে আব্দুস সালাম নাবিল নামে এক শিক্ষার্থী। সে পটুয়াখালী কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
ঘটনাটি ঘটে গত ১১ ডিসেম্বর দুপুরে, তবে এটি ১৬ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
নাবিলের বাবা মো. আব্দুস শাকুর জানান, তিনি একটি ভিডিওর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন। ভিডিওতে কয়েকজন কিশোর নাবিলকে মারধর ও হুমকি দিতে দেখা যায়। পরে নাবিল জানায়, মেসেঞ্জার গ্রুপে অশ্লীল বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনার প্রতিবাদ করায় এবং গ্রুপে না থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করায় তাকে এই হামলার শিকার হতে হয়েছে।
হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র। অভিযুক্তরা হলো মো. আলি, মো. সায়েম, মো. সামির, মো. সালমান, মো. হুজাইফা, ফারদিন, প্রভাস, মুনতাসির, তাসিন, এবং আবিদ।
নাবিলের বাবা বলেন, “এ বয়সেই যদি ছাত্রদের এমন আচরণ হয়, তবে ভবিষ্যতে কী হবে? আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। অভিযুক্তদের শাস্তি না হলে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।”
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সামিরের বাবা মো. শামীম আকন বলেন, “এ ঘটনায় আমি লজ্জিত। বন্ধুদের প্ররোচনায় পড়ে আমার ছেলে জড়িত হয়েছে। আহত ছাত্রের অভিভাবকরা যে শাস্তি দেবেন, তা আমরা মেনে নেব।”
পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন জানান, “ঘটনাটি বিদ্যালয়ের বাইরে ঘটেছে, তবে এতে আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্ররা জড়িত। অভিযুক্তদের অভিভাবকদের আগামী ২৫ ডিসেম্বর ডাকা হয়েছে। সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”