কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের উপর মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের হামলা,সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার আমিনুল হক ওরফে বাচ্চু (৬০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ইমাম উলামা পরিষদের উদ্যোগে কিশোরগঞ্জের শহীদী মসজিদ চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা ইমাম-উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শফিকুর রহমান জালালাবাদী।
এ সময় বক্তব্য রাখেন আলজামিয়াতুল ইমদাদির মহাপরিচালক ও শহীদী মসজিদের মুতাওয়াল্লী মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশিদ,মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ,ইসলামী আন্দোলন জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদার,জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক রমজান আলী,জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ জামী,মাওলানা তৈয়ব,মাওলানা আব্দুর রহিম,মাওলানা মাহমুদুর রহমান মাহমুদ সহ জেলার শীর্ষ উলামা হযরতগণ।
সমাবেশে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক ওলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতা অংশ নেন।এ সময় উপস্থিত ওলামায়ে কেরাম আমিনুল হক সহ সকল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এর আগে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের উপর মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়। এতে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী পাকুন্দিয়ার আমিনুল হক নিহত হন।
নিহত আমিনুল অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ছিলেন।আমিনুল পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের খামা গ্রামের বাসিন্দা মৃত উছমান আলীর ছেলে। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।