কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার মিনতি দাসের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দলিল রেজিস্ট্রির অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ জানাতে গেলে তিনি নিরব ভূমিকায় চেয়ারে বসে থাকেন এবং কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের একটি জমি নিয়ে মোমতাজ উদ্দিন মন্তু ও তার ভাই আবু হানিফের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। মোমতাজ উদ্দিন জানান, তার মা জুবেদা খাতুন ২০১০ সালে তার নামে জমি লিখে দেন। কিন্তু একই জমি আবু হানিফ হেবা দলিলের মাধ্যমে নিজের নামে দাবি করেন। বিষয়টি আদালতে গড়ালে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আদালত উভয় পক্ষকে জমিতে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং নোটিশটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে পাঠানো হয়।
আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরও আবু হানিফ চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর ৩৮ লাখ টাকায় ১৯ শতাংশ জমি বিক্রি করে সাফকাওলা দলিল রেজিস্ট্রি করেন। মোমতাজ উদ্দিন দাবি করেন, তিনি জমিটির দখল বহুদিন ধরে ভোগ করছেন এবং নিষেধাজ্ঞার কপি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে পাঠানো সত্ত্বেও এই দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়েছে।
আবু হানিফ স্বীকার করেছেন যে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি বিক্রি করা তার ভুল ছিল। তিনি জানান, এ বিষয়ে সমাধান করতে আগ্রহী।
এ বিষয়ে জানতে সাব-রেজিস্ট্রার মিনতি দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে এক সপ্তাহ সময় চান। পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান। প্রতিবেদক বারবার চেষ্টা করলেও তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
মোমতাজ উদ্দিন এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও কিভাবে দলিল রেজিস্ট্রি হলো, তা পরিষ্কার নয়। আমি আদালতের মাধ্যমে সঠিক বিচার চাই।”
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দলিল রেজিস্ট্রি এবং সাব-রেজিস্ট্রারের নিরব ভূমিকা নিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা।