ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে ভারত। বাংলাদেশ সরকার তার পাসপোর্ট বাতিলের ঘোষণা দেওয়ারই পরদিনই এলো এ খবর। বুধবার (৮ জানুয়ারি) কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস খবরটি দিয়েছে।
দুই দিন আগেই শেথ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরানোর জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাসিনা এবং সহঅভিযুক্তদের ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির হতে বলা হয়।
তবে ভারত ঠিক কবে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলো সেটি উল্লেখ করেনি হিন্দুস্তান টাইমস।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং তখন থেকেই তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি তার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল। তবে তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া নিয়ে যে গুঞ্জন রয়েছে সেই কথাও অস্বীকার করা হয়েছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এমন উদ্যোগকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে নয়াদিল্লির ওপর চাপ বৃদ্ধির প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে নয়াদিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যার্পণের অনুরোধ জানায় ঢাকা।