রেলকর্মীদের বুঝিয়ে কাজে ফেরাতে মঙ্গলবার দিনভর দফায় দফায় বৈঠক করেও সমঝোতার পথ বের করতে পারেননি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। রানিং স্টাফদের নেতা মজিবুর রহমানকে খুঁজে না পাওয়ায় বিষয়টি আটকে আছে।
এ প্রচেষ্টায় যুক্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এবং জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসও। কিন্তু তিনিও কোনো সমাধান দিতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার গভীর রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডে যোগাযোগ ও রেল উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের বাসায় বৈঠকের পর চলমান কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে ট্রেন চলাচল শুরুর ঘোষণা দেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান।
সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে প্রকাশ্যে না থাকা রানিং স্টাফদের নেতা মজিবুর রাত আড়াইটায় প্রেস বিফ্রিংয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমাদের সমস্যা বুধবারের মধ্যে সমাধান করবেন উপদেষ্টা মহোদয়। আমরা জনদুর্ভোগ চাই না। দুঃখ প্রকাশ করছি। এখন থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলাম।
তিনি বলেন, মিডিয়ার মাধ্যমে কর্মী ভাইদের বলতে চাই, আপনারা কাজে ফিরুন। উপদেষ্টা বলেছেন, আগের মত আমরা যা পেয়ে আসছি তা পাব।
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমি এটা (তাদের দাবি পূরণ) করতে সক্ষম হব। বিদ্যমান সুবিধাদি বহাল থাকবে। আগে থেকে যেসব সুবিধা চলে আসছে, তা পরিবর্তন হবে না।
মঙ্গলবার গভীর রাতের ওই বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহও অংশ নেন।
বৈঠক শেষে প্রেস বিফ্রিংয়ে রানিং স্টাফদের নেতা মজিবুর বলেন, উপদেষ্টা বলেছেন দ্রুত বুধবারের মধ্যে সমস্যার সমাধান করবেন। আগের সুবিধা বিদ্যমান থাকবে, আগের ন্যায় পাব। ২০২২ সালের পরের নিয়োগপ্রাপ্তদের বিষয়ে কালকের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।