সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ভাতিজা কিশোরগঞ্জের মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরীফ কামালের ‘হাওর রিসোর্ট’ ভাঙচুর করেছে স্থানীয় ছাত্র-জনতা। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের পর মিঠামইনের সদর ইউনিয়নের কামালপুর এলাকায় অবস্থিত রিসোর্টটিতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পরিত্যক্ত বাসায় অগ্নিসংযোগ ও দিনভর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের পর রাতে অবশিষ্টাংশ এক্সকাভেটরের মাধ্যমে গুঁড়িয়ে দিয়ে অগ্নিসংযোগ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই দিন সন্ধ্যায় আবদুল হামিদের বাসায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছিল বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মিঠামইন বাজার থেকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে হাওর রিসোর্টে ছুটে আসেন। পরে রিসোর্টের গেট ভেঙে প্রবেশ করে প্রথমে ভাঙচুর ও পরে অগ্নিসংযোগ করেন তারা।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিশোরগঞ্জের নেতারা বলেন, গত জুলাই-আগস্ট হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর তীব্র আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। জনরোষে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েও খুনি হাসিনা দেশবিরোধী অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাই কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব রাখা হবে না। খুনি হাসিনার কোনো স্মৃতিচিহ্ন বাংলার মাটিতে দেখতে চায় না দেশের মানুষ। এই জন্যই বিক্ষুব্ধ জনতা ফ্যাসিস্টদের আঁতুড়ঘর ভেঙে দিচ্ছে।
মিঠামইন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিউল আলম বলেন, রিসোর্টে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনা শুনেছি। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।