মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:০১ অপরাহ্ন

গাজীপুরে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ, দুজন গ্রেপ্তার

গাজীপুরের টঙ্গীতে এক তরুণী (১৯) দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি করেছেন তিন যুবক। এ ঘটনায় ওই তরুণী থানায় মামলা দায়ের করলে মঙ্গলবার রাতে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভুক্তভোগী তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলো—টঙ্গী পূর্ব থানার মরকুন মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত কেরামত আলীর ছেলে মো. মাসুম (৩৬) ও নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার নীলক্ষা গ্রামে হারিজ মিয়ার ছেলে সজিব মিয়া (২৫)। ঘটনার পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার কচুয়ামুড়া গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (২৬) নামে অপর এক অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিতা ওই তরুণী টঙ্গীর মাস্টারপাড়া এলাকায় একটি কারখানায় কাজ করতেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নির্যাতিতা ওই তরুণী ও তার সহকর্মীকে (ছেলে) নিয়ে কারখানায় কাজ যোগ দিতে বাসা থেকে বের হন। এসময় ওই তিন যুবক তাদের গতি রোধ করেন। পরে নির্যাতিতা তরুণীর সহকর্মীকে (ছেলে) হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। এসময় অভিযুক্তরা তাদের মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও করে রাখে। ধর্ষণ শেষে নির্যাতিতা ওই নারীকে ধর্ষণের ধারণ করা ভিডিও দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা দাবি করে ছেড়ে দেয় তারা। ঘটনার একদিন পর গত শুক্রবার রাতে ওই তরুণী টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে।

থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) উৎপল কুমার বলেন, ‘তরুণী অভিযুক্তদের নাম–পরিচয় জানতেন না। অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়েরের পর আমরা অভিযুক্ত মাসুমকে গ্রেপ্তার করি।

জিজ্ঞাসাবাদের পর মাসুম দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ ও টাকা দাবির বিষয়টি স্বীকার করেছে। বুধবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় জড়িত থাকায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর একজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page