নাটোরের বড়াইগ্রামে স্থানীয় হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এক শিশুকে বলাৎকারের দায়ে আব্দুর রহিম ওরফে কালু (২৭) নামে এক শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামির উপস্থিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুর রহিম নাটোর সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৮ মে জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার তালশো আল জামিয়া হোসাইনিয়া মদিনাতুল হাফিজিয়া মাদ্রাসার ইবতেদায়ি ৫ম শ্রেণীর ছাত্রকে মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রহিম সন্ধ্যায় তার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মাদ্রাসার একটি কক্ষে বলাৎকার করেন। ঘটনাটি কাউকে না জানাতে ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলে করে শিশুটিকে বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় শিক্ষক আব্দুর রহিম। বাড়ি ফিরে শিশুটি কান্নাকাটি করে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য তার বাবা নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। পুলিশ আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।
নাটোর জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের মিয়া জানান, মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত আসামি আব্দুর রহিমের উপস্থিতে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন। জরিমানার টাকা ভুক্তভোগী শিশুটি পাবে বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন। এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।