নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় ঘুষের বিনিময়ে বয়স বাড়িয়ে ভুয়া তথ্য দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করার চেষ্টার অভিযোগে উপজেলা নির্বাচন অফিসের দুইজন আউটসোর্সিং কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসাথে ঘটনায় জড়িত চারজনের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, মাত্র ১৫ বছর বয়সী আরাফাত মিয়া ৬ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে নিজের বয়স ৭ বছর বাড়িয়ে ২২ বছর দেখিয়ে ভোটার হতে চেয়েছিলেন। এই কাজে তাকে সহায়তা করেন কটিয়াদী উপজেলার কাজীরচর গ্রামের মধ্যস্থতাকারী জহিরুল ইসলাম, এবং পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর বারীউল ইসলাম (২৭) ও ঝাড়ুদার রকিবুল ইসলাম রকি (২৪)।
ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ ও ১৮ মার্চ, পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের মির্জাপুর আলিম মাদ্রাসা মাঠে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময়। সেখানে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে এনআইডি করার জন্য আরাফাত মিয়া উপস্থিত হন। পরে কমিশনের সন্দেহ হলে ঢাকায় সচিবালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ পায়।
২৯ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে চারজনের নামে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ এবং জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০১০ এর বিভিন্ন ধারা উল্লেখ করা হয়।
নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, মামলার তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতারণার এমন ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।