কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুরে ছাগল বোর ধানের ক্ষেত খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাকচান্দা আব্দুস সামাদ একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী স্বর্ণা আক্তার ও তার পরিবারের লোকজনকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গুরুতর আহত পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ না নিতে পারলে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
এ ঘটনায় ওই পরীক্ষার্থীর ভাই আল মামুন মিয়া বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় ০৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছে। হোসেনপুর থানা মামলা নং-৯ ধারা-১৪৩/৪৪৭/ ৩২৩/৩২৪/ ৩২৬/৩০৭/৩৫৪/৩৭৯/১১৪/৫০৬ পেনাল কোড-১৮৬০। মামলার ২ নং আসামি একই গ্রামের তাঁরা মিয়ার ছেলে সুরুজ মিয়া (৫০) কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
সরেজমিনে গিয়ে ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ছাগলে বোর ধানের ক্ষেত খাওয়ার মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ও পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলার উত্তর পানান গ্রামের মোছ. রোকিয়া, সুরুজ মিয়া, আজিত মিয়াসহ কয়েকজন মিলে এসএসসি পরীক্ষার্থী স্বর্ণা আক্তার ও তার পিতা চাঁন মিয়াকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ২৫০ বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ওই পরীক্ষার্থীর গণিত পরীক্ষা রয়েছে। মাথায় আঘাত পাওয়ায় পরীক্ষাতে অংশ গ্রহণ করা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
আহত পরীক্ষার্থীর পিতা চাঁন মিয়া জানান, আমাকে ও আমার মেয়েকে জীবনে মেরে ফেলার জন্য গুরুতর আঘাত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। আমার মেয়েকে মাথায় আঘাত করায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধুমকি দিচ্ছেন তারা। আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যেকোনো সময় আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলতে পারে বলেও জানান তিনি।
মামলার বাদী পরীক্ষার্থীর বড় ভাই মামুন মিয়া বর্বরোচিত এ ঘটনায় অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। পরীক্ষার্থীর প্রতিবেশী সমাজসেবক খোরশিদ উদ্দিন এ ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেছেন।
হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রাথমিক তদন্ত পরবর্তী মামলা রুজু করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সুরুজ মিয়াকে গ্রেফতার করে গ্রেপ্তারকৃতকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।