আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মানুষকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে, এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “বিএনপির যেসব সন্ত্রাসী ও ক্যাডাররা অগ্নিসন্ত্রাস এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জনগণের ওপর হামলায় জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করাটা কোনোভাবেই হয়রানিমূলক হতে পারে না।”
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সন্ত্রাসীদের আইন ও বিচারের মুখোমুখি করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্য।”
বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, সেটি আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও প্রমাণিত। দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের জনগণ যেকোনো সময়ের তুলনায় স্বস্তিতে বসবাস করছে।”
‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলাটা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়। ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নির্বিচারে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের যারা হত্যা করেছিল; যাদের পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গিগোষ্ঠী ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল, যারা ১০ ট্রাক অস্ত্র আমদানি করেছিল, যারা অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টি করে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সেই খুনিদের দল যখন জননিরাপত্তা নিয়ে কথা বলে তখন জনগণ আরও ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।”
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনের প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সেনা ছাউনিতে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিল। সূচনালগ্ন থেকেই বিএনপি অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের পথ রুদ্ধ করে রাজনীতি করে আসছে। সুতরাং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণতন্ত্র ও সুশাসনের কথা বেমানান।”