কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজের চার দিন পর আরো তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৪) ও তার ছেলে রাইসুল (৫) এবং শহরের আমলাপাড়া এলাকার কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার মানিকখালী গ্রামের বেলন দে (৪৫)।
এ নিয়ে নয়জনের লাশ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় আর কেউ নিখোঁজ নেই।
আজ সোমবার সকালে মেঘনা নদীর এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ তিনজনের লাশ উদ্ধার করে ডুবুরি দল।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম
সোহেল রানা ও তার ছেলে রাইসুলকে বেলা ১২টায় হাইওয়ে থানায় জানাজা শেষে দেবিদ্বার ফতেহাবাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার বাড়ি দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব ফতেহাবাদ গ্রামে। তার বাবা সাবেক সেনা সদস্য আবদুল আলিম। তিনি ভৈরব হাইওয়ে থানায় পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি করতেন। ২০১১ সালে পুলিশ তিনি কনস্টেবল পদে যোগ দেন।
এর আগে রোববার (২৪ মার্চ) সাড়ে ৩টার দিকে মেঘনা নদী থেকে পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদা সুলতানা (৭) ঝন্টু দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩০), নরসিংদির বেলাব থানার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে ভৈরব মেঘনা নদীতে উদ্ধার অভিযানের তৃতীয় দিনে ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার করে বিআইডব্লিউটিএ।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক উবায়েদুল করিম খান জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযান আজ সকালে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আর কেউ নিখোঁজ নেই। গতকাল বেলা ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া ট্রলাটি চেইন কপ্পার সাহায্যে মেঘনার পাড়ে তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ভৈরবের মেঘনা নদীতে ১৬/২০ জন যাত্রী নিয়ে সুন্দরবন নামে পর্যটকবাহী একটি নৌকা বালুবাহী বাল্কহেডের সাথে ধাক্কা লেগে নৌকাটি ডুবে যায়। ঘটনার পরদিন পাঁচ ঘণ্টার অভিযানে দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৫) ও শহরের আমলাপাড়া এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী চন্দন দে’র কন্যা আরাদ্দা দে (১২)।