বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ অরাজনৈতিক আন্দোলনের নামে বাঙ্গালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন ও অহংকার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিরুপ মন্তব্য ও শ্লোগান দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে গণতন্ত্রী পার্টি।গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার মো:আরশ আলী,ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা :শহীদুল্লাহ সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন এক যৌথ বিবৃতিতে এ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।গণতন্ত্রী পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়েছে,৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত,২ লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমহানি, দেশবাসীর সম্পদ হানি ও অত্যাচার নির্যাতনের বিনিময়ে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা জীবন বাজি রেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় রাজাকার,আলবদর, আল শামস প্রভৃতি বাহিনীকে মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্ত করে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করেছিল।সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে মূলত :দেশের গরীব সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, নিম্নবিত্ত এবং নিস্নমধ্য বিত্ত মানুষই শতকরা হারে কমপক্ষে ৯৫ ℅অংশগ্রহণ করেছিল।মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ৭২ সনে রচিত সংবিধানের প্রেক্ষিতে সরকার মুক্তিযোদ্ধা, নারী, জেলা,ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা নির্ধারণ করে পরিপত্র জারী করেন। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০℅ সংরক্ষণ কথা থাকলেও তা কোন দিনই পূরণ হয়নি।গত ২০১৮ সালে কোটা বিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে পরিপত্র জারী করেন।যার বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের হয়।মহামান্য হাইকোর্ট ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত আদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করলে যেখানে মহামান্য আপীল বিভাগে আপীল দায়ের করলে যেখানে মহামান্য আপীল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ ১ মাসের জন্য স্থগিত করায় বর্তমানে দেশে কোন কোটা পদ্ধতি কার্যকর নাই।
এই অবস্থায় মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে সাবির্ক শুনানী অন্তে কি আদেশ হয় তার জন্য অপেক্ষা না করে কোটা বিরোধী আন্দোলন করার জন্য জন জীবনে ব্যাপক দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এবং নাতি পূতিরা কোটা পাবে না তো কি রাজাকারের নাতি পূতিরা কোটা পাবে?সাংবাদিক সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার এমন একটি বক্তব্যের প্রেক্ষিতে গতকাল গভীর রাত ১২ টার দিকে কিছু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টি.এস.সি নিকট জড়ো হয়ে তারা কোটা বিরোধী আন্দোলন নামে রাজনৈতিক ইন্ধনে মুক্তিযুদ্ধ বিরুধী ‘আমরা রাজাকার ‘ স্লোগান দিতে থাকে।যা মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক চেতনা বিরোধী।মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করতে হবে এবং এর সাথে সংগতি রেখে সকল কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে।এর ব্যতিক্রম কোন ক্রমেই জাতি কোন দিনও মেনে নিবে না।
গণতন্ত্রী পার্টির পক্ষ থেকে ১৪ দলীয় জোট সরকারের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পক্ষে দৃঢ় অবস্থানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে দেশপ্রেমিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির যৌক্তিক সমাধান বের করে দুর্নীতিমুক্ত, শোষণ মুক্ত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে তোলার জোর দাবি জানান। সাথে সাথে রাজাকারের পক্ষে সাফাইকারীদের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রকৃত রাজাকারের তালিকা প্রস্তুত করে এদের সকল নাগরিক সুবিধা হরণ করার ও জোর দাবী জানান।গণতন্ত্রী পার্টির প্রচার সম্পাদক মো:কামরুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।