কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের ব্রাক্ষণকচুরী গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়িঘরে স্থানীয় বিএনপির নেতারা হামলা ভাংচুর,অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ অভিযোগে স্থানীয় বিএনপি নেতা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়া সহ ১০ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪০/৫০ জনের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার চেয়েছে ভূক্তভোগী পরিবারটি।
জানা যায়,গত (৫ আগস্ট) সরকার পতনের পর ওইদিন বিকালে সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের ব্রাক্ষণকচুরী গ্রামে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়ার নেতৃত্বে সনাতন ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘু গীতা রাণী বর্মণের বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায় অভিযুক্তরা। এ সময় তারা ঘরে থাকা আসবাবপত্র, টাকা পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। প্রাণভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় ভূক্তভোগী গীতা রাণীর পরিবার। এখনো তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ে বাড়িছাড়া।
এ ঘটনায় গত (২৩ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে ভূক্তভোগী গীতা রাণী বর্মণ। এছাড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গত (২৭ সেপ্টেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভূক্তভোগী গীতা রাণী ভৌমিকের পরিবার।
ভূক্তভোগী গীতা রাণী ভৌমিক জানান, ওরা শুধু আমাদের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করেই ক্ষান্ত হয় নি।ফোন করে দেশছাড়ার হুমকি ও চাদাঁ দাবী করছে। অন্যথায় আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে তারা। এ অবস্থায় আমরা নিরুপায় হয়ে প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, সংখ্যালঘু পরিবারের সাথে এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। যারাই এ ঘটনার সাথে জড়িত দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।