বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কটিয়াদীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিদায়ী সংবর্ধনা কিশোরগঞ্জের ইটনায় নরমাল ডেলিভারিতে তিন সন্তানের জন্ম, শিশুদের মধ্যে একটি শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন গোমস্তাপুর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কিশোরগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের দাবি হিন্দু সম্প্রদায়ের সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার, ডিবি কর্তৃক ধানমন্ডিতে আটক নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতিকে টকশোতে আমন্ত্রণ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতাদের প্রতিবাদ রহনপুর শিশু শিক্ষা নিকেতন এর খেলনা সামগ্রীর উদ্বোধন করিমগঞ্জে ইজিবাইক-মোটর সাইকেল মুখমুখি সংঘর্ষ- নিহত ১, আহত ৬ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল সালাউদ্দিনকে সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ দিল বিসিবি

পালিত হয়নি কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক বড়ইতলা গণহত্যা দিবস

আজ ১৩ অক্টোবর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক বড়ইতলা গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের ১৩ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াল ইউনিয়নের বড়ইতলা নামক স্থানে ৩৬৫ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে রাজাকার ও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী।

সেই থেকে এই দিনটি বড়ইতলা গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে স্থানীয়রা।

বড়ইতলা হত্যাকাণ্ডে স্বজনহারা শত শত পরিবার এখনো মানবেতর জীবন- যাপন করছেন। তাদের খবর রাখে না কেউ। এখনো মেলেনি শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি ও মর্যাদা।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের এদিন (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ থেকে ট্রেনে করে কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নের বড়ইতলা নামক স্থানে আসে পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস। পরে তারা পার্শ্ববর্তী দামপাড়া গ্রামে প্রবেশ করে ৪-৫ জন নিরীহ স্থানীয় বাসিন্দাকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। ঘটনার আকস্মিকতায় প্রাণে বাঁচতে কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়নের দামপাড়া, বীরদামপাড়া, কড়িয়াইল, তিলকনাথপুর, গোবিন্দপুর, চিকনিরচরসহ আশপাশের মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি করতে থাকে। এ সময় পাকিস্তানী বাহিনীর সহযোগীরা গ্রামের সাধারণ মানুষকে সভা হবে বলে ডেকে বড়ইতলা নিয়ে যায়।

পরে তাদের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়। স্থানীয় রাজাকাররা পাকিস্তানী সৈন্যদের নিয়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে বাড়িঘরে লুটতরাজ, নারী নিপীড়ন ও অগ্নি সংযোগ করে। এ সময় এক রাজাকার গুজব ছড়ায় যে, গ্রামবাসী দুই পাকিস্তানী সৈনিককে মেরে ফেলেছে। এ গুজবের পর বর্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব রেললাইনের পাশে বড়ইতলা নামক স্থানে নিরীহ ৩৬৫ গ্রামবাসীকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে, রাইফেলের বাট দিয়ে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।

দেশ স্বাধীনের পর তৎকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বড়ইতলার গণহত্যারস্থল পরিদর্শন করেন। পরে বড়ইতলার নাম পরিবর্তন করে ‘শহীদ নগর’ রাখা হয়। শহীদদের স্মরণে সেখানে তখন একটি স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়।

পরে ২০০০ সালে সরকারের সহযোগিতায় বড়ইতলা এলাকায় রেললাইনের পাশে ৬৬৭ বর্গফুট এলাকায় ২৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।
দিবসটি পালন উপলক্ষে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনাসভাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হতো। কিন্তু এইবার রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হওয়ায় এবার দিবসটি ঐভাবে পালন করা হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page