প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, নতুন সংবিধান কার্যকর করবে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনের প্রস্তাব পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করা হবে এবং তাদের মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশ কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গতকাল রোববার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে মাহফুজ আলম বলেন, “আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাই, যা নতুন সংবিধানের মাধ্যমে সম্ভব হবে।” তিনি উল্লেখ করেন, এক দফার আন্দোলনের মাধ্যমে পুরোনো পলিটিক্যাল সেটেলমেন্ট সম্পূর্ণ বাতিল হয়েছে।
মাহফুজ আলম জানান, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পেছনে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন রয়েছে, যা ডকুমেন্টেড হতে হবে। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের গণমানুষের বিপ্লবকে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ করা জরুরি।”
এ সময় সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সংস্কারের সুপারিশ তৈরির জন্য বিভিন্ন অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে। কমিশন সাধারণ নাগরিকদের মতামত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সংগ্রহ করবে।
তিনি আরও জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানকে উপেক্ষা করে নতুন সংবিধান প্রণয়নের সুযোগ নেই। সংবাদ সম্মেলনে সাংবিধানিক সংস্কারের সাতটি উদ্দেশ্যের কথা জানানো হয়, যার মধ্যে সামাজিক সুবিচার ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরির উদ্দেশ্য উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া, শনিবার, আলী রীয়াজের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন, যেখানে সংবিধানকে সমসাময়িক করার পরামর্শ দেওয়া হয়।