দেশে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তরুণদের মনস্থির করার ও স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে এনডিসি ও এফডব্লিউসি কোর্সের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেয়ার সময় তিনি এ আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস বলেন, “আমি বিশেষ করে তরুণদের তাদের মনস্থির করতে, চিন্তা করতে ও স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করি। স্বপ্ন হল পরিবর্তনের সূচনা। স্বপ্ন দেখলে পরিবর্তন হবে; আপনি যদি স্বপ্ন না দেখেন তবে এটি কখনোই হবে না।”
তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, “নিজেকে প্রশ্ন করুন, আমি বিশ্বের জন্য কী করতে পারি। একবার আপনি কী করতে চান তা বুঝতে পারলে আপনি তা করতে পারবেন, কারণ আপনার সেই ক্ষমতা রয়েছে।”
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “বিশ্বের তরুণ প্রজন্ম এখন সমগ্র মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রজন্ম। তারা যথেষ্ট স্মার্ট হওয়ার কারণে নয় বরং তাদের হাতে প্রচুর প্রযুক্তি রয়েছে।”
প্রযুক্তিকে আলাদিনের চেরাগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ছাত্র বিপ্লবের দিকে তাকান, দেখবেন এটি প্রযুক্তির বিষয়। তারা একে অপরের সঙ্গে খুব দ্রুত যোগাযোগ করতে পেরেছে। তাদের কোনো কমান্ড কাঠামো ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের তরুণ যুবকরা একটি নতুন বাংলাদেশ দেখতে চায়। তরুণরা রাজনীতিবিদ নয় এবং কোনো রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টাও তারা করছে না। তবে তারা নিজেদের জন্য একটি নতুন দেশ চায়।”
বিশ্ব শান্তির কথা উল্লেখ করে ২০০৬ সালের নোবেল শান্তি বিজয়ী ড. ইউনূস বলেন, “বেশিরভাগ সময়, মানুষ শান্তির নামে একে অপরকে হত্যা করে। কিন্তু আমরা প্রতিদিন, আমাদের সমস্ত উচ্চারণ ও আমাদের সমস্ত দর্শনে নিজেদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করি। আমরা শান্তি চাই—দেশের ভেতরে শান্তি, সব দেশের মধ্যে শান্তি এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি।”
অধ্যাপক ইউনূস শেষ করেন, “অত্যন্ত হাস্যকর মনে হয় যে বিশ্বের প্রতিটি সরকারেরই একটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আছে, যা আক্ষরিক অর্থে যুদ্ধ মন্ত্রণালয়। কিন্তু কোনো শান্তি মন্ত্রণালয় নেই।”