বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশের সামনে আইরিশদের বড় চ্যালেঞ্জ শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি আইনজীবী সাইফুল হত্যা: প্রধান আসামি চন্দন ভৈরবে গ্রেপ্তার নিকলী ও করিমগঞ্জে জলমহালে বিষ প্রয়োগ, দুই কোটি টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ কাহার আকন্দের উত্থান ও পতন: পুলিশ থেকে রাজনীতি, এক বিতর্কিত যাত্রা বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন তদন্ত: কাদির মোল্লার ব্যবসায়িক হিসাব ও ঋণের অনুসন্ধান গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পে মাদারীপুরে মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত রায়পুর পৌরসভায় নাগরিক সেবায় চরম অব্যবস্থাপনা সড়ক সংস্কারের দাবিতে কিশোরগঞ্জে এক কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন ও অবরোধ জবি ছাত্র ঐক্যের মঞ্চে ১২ সংগঠনের নেতা, থাকবে উপাচার্যের উপস্থিতি

পঞ্চগড়ে মহানন্দা নদীতে হরিজনদের ছট পূজা উদযাপন: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উৎসবের মিলনমেলা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত নদী মহানন্দা নদীতে সনাতন ধর্মাবলম্বী হরিজনদের ছট পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায়। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঈদগাহ বস্তি এলাকায় মহানন্দা নদীর তীরে এই পূজা শুরু হয়, যা সূর্যোদয়ের সময় স্নান, পূজা-অর্চনা এবং প্রার্থনার মাধ্যমে শেষ হয়।

এ বছর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে মহানন্দা নদীর দুপাড়ে উভয় দেশের নাগরিকরা একসঙ্গে এই ঐতিহ্যবাহী পূজা উদযাপন করেন। বিজিবির পাহারায় পূজার আয়োজন চলে দিনভর, এবং পূজা উপলক্ষে হাজার হাজার পুণ্যার্থী উপস্থিত হন।

ছট পূজা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব, যেখানে স্থানীয় সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষ সূর্য নারায়ণের পূজা করে। তাদের উদ্দেশ্য থাকে মনোবাসনা পূর্ণ করা এবং বিভিন্ন বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রার্থনা। এই পূজার মাধ্যমে তারা সূর্য দেবতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের মানত পূর্ণ করে থাকেন।

পূজায় অংশগ্রহণকারী অনেকেই জানান, “এটি সূর্য পূজা, তাই আমরা তিন দিন উপবাস থাকতে হয়। এখানে ভারতীয়রা, বাংলাদেশের লোকজন—সবাই মিলেমিশে পূজা করছি এবং আনন্দ উপভোগ করছি।”

স্থানীয় বাসিন্দা কৃষাণ লাল বলেন, “আমি প্রায় ২০-২২ বছর ধরে এই পূজা করে আসছি। ভারত ও বাংলাদেশের মানুষ একসঙ্গে মহানন্দা নদীর দুপাড়ে পূজা করছি, এটি খুবই আনন্দের বিষয়।”

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউল হক বলেন, “এটি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি উদাহরণ। বিজিবি সবসময় সীমান্তের নিরাপত্তা এবং জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে কাজ করছে। আমরা কোনও ধর্ম বা সম্প্রদায়ের পার্থক্য ছাড়াই সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বদা তৎপর।”

এদিকে, সীমান্ত আইনের বিধি-নিষেধ মেনে এই পূজা আয়োজিত হওয়ায় তা ভারত-বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে এক সুন্দর শান্তিপূর্ণ উৎসবের পরিবেশ তৈরি করেছে, যা উভয় দেশের মাঝে আরও সহযোগিতা এবং বন্ধুত্বের প্রমাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page