জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর আলম লাভলু এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও যুব মহিলা লীগের সভাপতি জহুরা বেগমের মধ্যে এক ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত শনিবার, দুই নেতার ২ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ হয়, যাতে তারা একে অপরকে মামলার ব্যাপারে আলোচনা করতে শোনা যায়। ফোনালাপে, জহুরা বেগম লাভলুকে জানান যে, তিনি মামলার কারণে কোর্টে যেতে পারছেন না এবং তার বিরুদ্ধে চলমান চার্জশিটে তার নাম বাদ দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন। লাভলু তাকে আশ্বস্ত করেন যে, তিনি এই বিষয়ে সাহায্য করবেন।
অডিওতে দেখা যায়, জহুরা বেগম লাভলুকে বলছেন, “কোনো কিছু করতে পারছি না, এলাকার কাজও করতে পারছি না, আমি তো পলাতক।” লাভলু তখন তাকে বলেন, “আপনে আমার সঙ্গে যোগাযোগ কইরেন, চার্জশিট থেকে আমি নাম কেটে দিমুনি।”
এ ছাড়া, ফোনালাপে আরও শোনা যায়, জহুরা বেগম কিছু উন্নয়নমূলক কাজের জন্য লাভলুর সহায়তা চাইছেন, কিন্তু লাভলু তাকে জানান যে, “আপনার কাজের ব্যাপারে আমি কথা বলবো, কিন্তু আগে মামলার বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।”
এই ফোনালাপের বিষয়ে জানতে বকশীগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি জহুরা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান লাভলু জানান, “আমি সহজ-সরল মানুষ। ওই সময় ফোনে আলোচনা হয়েছিল, কিন্তু আমার কাছে মামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করার বিষয় ছিল না। সে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।”
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মানিক সওদাগর বলেন, “মামলা চলমান থাকলে, আমি নিজেই এর সমাধান করব। কেউ যদি বলে যে, আমি আপনার কাছ থেকে সাহায্য নেব, তবে সেটি ভুল হবে।”
জামালপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সজীব খান এ বিষয়ে বলেন, “এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে, আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব।”
এই ঘটনাটি নিয়ে আরও তদন্ত চলছে এবং সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে বিস্তারিত মন্তব্য নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।