বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বাংলাদেশের সামনে আইরিশদের বড় চ্যালেঞ্জ শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি আইনজীবী সাইফুল হত্যা: প্রধান আসামি চন্দন ভৈরবে গ্রেপ্তার নিকলী ও করিমগঞ্জে জলমহালে বিষ প্রয়োগ, দুই কোটি টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ কাহার আকন্দের উত্থান ও পতন: পুলিশ থেকে রাজনীতি, এক বিতর্কিত যাত্রা বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন তদন্ত: কাদির মোল্লার ব্যবসায়িক হিসাব ও ঋণের অনুসন্ধান গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পে মাদারীপুরে মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত রায়পুর পৌরসভায় নাগরিক সেবায় চরম অব্যবস্থাপনা সড়ক সংস্কারের দাবিতে কিশোরগঞ্জে এক কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন ও অবরোধ জবি ছাত্র ঐক্যের মঞ্চে ১২ সংগঠনের নেতা, থাকবে উপাচার্যের উপস্থিতি

শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৭ অক্সিজেন সিলিন্ডার গায়েব: চুরির অভিযোগ

কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে ৩৭টি অক্সিজেন সিলিন্ডার গায়েব হয়ে গেছে। হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে চুরির ঘটনা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে।

জানা গেছে, হাসপাতালের স্টোর রুমে সংরক্ষিত ৪৭৬টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের মধ্যে ৩৭টি এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালের কর্মচারীদের মধ্যেই এ ঘটনার মূল হোতা থাকতে পারে। তারা দ্রুত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল টেকনিশিয়ান আমান উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “চুরি হয়েছে, তবে সঠিক সংখ্যা স্টোর ইনচার্জ জানেন। ধারণা করা হচ্ছে, হাসপাতালের বাইরের কোনো ব্যক্তি এ কাজে জড়িত। বিষয়টি নিয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

স্টোর ইনচার্জ আনিছুর রহমান বলেন, “স্টোর রুমে থাকা ৪৭৬টি সিলিন্ডারের মধ্যে ৩৭টি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”

অন্যদিকে, প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সের চালক ওবায়দুল অভিযোগ করেন, “দুজন ব্যক্তি জোরপূর্বক তার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে দুটি সিলিন্ডার বাইরে নিয়ে যায়।”

হাসপাতালের পরিচালক ডা. হেলাল উদ্দিন সিলিন্ডার চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

তবে হাসপাতালের একাধিক কর্মী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অবস্থায় অভিযোগ করেছেন, প্রধান হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা মো. একরামুল হকের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। এর আগে ২০২১ সালের ৩ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত তিনি এসব অভিযোগের জবাব দেননি।

এ ঘটনায় হাসপাতাল এবং এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন সকলে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page