বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বগুড়ায় জেইউবির প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের জার্সি ও ক্যাপ উন্মোচন বাংলাদেশের সামনে আইরিশদের বড় চ্যালেঞ্জ শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি আইনজীবী সাইফুল হত্যা: প্রধান আসামি চন্দন ভৈরবে গ্রেপ্তার নিকলী ও করিমগঞ্জে জলমহালে বিষ প্রয়োগ, দুই কোটি টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ কাহার আকন্দের উত্থান ও পতন: পুলিশ থেকে রাজনীতি, এক বিতর্কিত যাত্রা বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন তদন্ত: কাদির মোল্লার ব্যবসায়িক হিসাব ও ঋণের অনুসন্ধান গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পে মাদারীপুরে মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত রায়পুর পৌরসভায় নাগরিক সেবায় চরম অব্যবস্থাপনা সড়ক সংস্কারের দাবিতে কিশোরগঞ্জে এক কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন ও অবরোধ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল পবিপ্রবি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রামের আদালত প্রাঙ্গণে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। একই সঙ্গে হত্যাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় ২৪ চত্বর ও মুক্ত বাংলা চত্বরে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং ইসকনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

বিক্ষোভে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থী মো. জায়েদ বলেন, “৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত আমরা সকল ধর্মের মানুষ একসঙ্গে দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু আজ যা হয়েছে, তা কোনো ধর্মীয় ব্যক্তির কাজ হতে পারে না। এটি নিঃসন্দেহে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। আমরা ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি যারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে।”

এসময় শিক্ষার্থী হাফেজ মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, “ইসকন একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করছে। দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে তারা হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর পাঁয়তারা করছে। আমরা এই সংগঠনকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।”

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ইসকনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর আদালত চত্বরে সনাতনী জাগরণী জোটের কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এসময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, এই হত্যাকাণ্ডে ইসকনের প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা রয়েছে।

বিক্ষোভে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “আমরা দেশের শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। যারা এর ব্যত্যয় ঘটাবে, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো হবে।”

শিক্ষার্থীদের দাবি ও বিক্ষোভকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page