কিশোরগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে দানের ইতিহাসে এবার নতুন রেকর্ড গড়েছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে মসজিদের ১০টি দানবাক্স ও একটি ট্যাঙ্ক খুলে পাওয়া গেছে ২৯ বস্তা টাকা। এছাড়াও দানের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না রয়েছে।
দানের টাকাগুলো গণনা করতে ৪০০ জনের বেশি লোক কাজ করছেন। গণনা কার্যক্রম চলছে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের তত্ত্বাবধানে। জেলা প্রশাসক জানান, গত আগস্ট মাসে মসজিদের দানবাক্স খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এবার সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গণনা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন ব্যাংকের কর্মকর্তা, মাদরাসার ছাত্র, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পুরো প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুবেল মাহমুদ এবং রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম।
প্রায় আড়াইশ বছরের পুরনো পাগলা মসজিদ দেশের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থাপনা। বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষ মনের বাসনা পূরণের আশায় এখানে দান করে থাকেন। নগদ অর্থ ছাড়াও বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা-রুপার গয়না এবং কখনো কখনো পশুপাখিও দান করা হয়।
মসজিদের দানের অর্থ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা এবং সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। করোনাকালেও এই মসজিদের দানের অর্থ দিয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল।
বর্তমানে মসজিদ কমপ্লেক্সকে আরও আধুনিক করতে ১১৫ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। নতুন কমপ্লেক্সে একসঙ্গে ৩০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।
পাগলা মসজিদ শুধু একটি ধর্মীয় স্থাপনা নয়; এটি উদারতা এবং মানবকল্যাণের উজ্জ্বল উদাহরণ।