নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে ব্রিফ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সোমবার (২ ডিসেম্বর, ২০২৪) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এই ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরা হয়। এতে ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, জাপান, চীন, কানাডা, সৌদি আরব, ইরান, সিঙ্গাপুরসহ একাধিক রাষ্ট্রের প্রতিনিধি এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রস্তাবের সমালোচনা করে বলেন, “রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি সঠিক পদক্ষেপ নয়। কেন মমতা এই বক্তব্য দিয়েছেন, তা আমি বুঝতে পারছি না।” তিনি মনে করেন, এটি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির জন্য সহায়ক নাও হতে পারে।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়নের প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমরা পারস্পরিক স্বার্থ ঠিক রেখে ভারতের সঙ্গে ভালো ও স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, চলতি মাসের মাঝামাঝি ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা রয়েছে।
ভারতীয় ভিসা বন্ধ থাকায় চিকিৎসা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে সমস্যার কথা তুলে ধরেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “কলকাতার ব্যবসায়ীদের অবস্থা খারাপ। এটি ভারতের স্বার্থের জন্য সহায়ক কিনা, তা তাদের দেখতে হবে।”
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আন্তরিকতার বিষয়টি পরিমাপ করা কঠিন। উভয়ের স্বার্থের দিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। “বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক উভয় দেশের স্বার্থ অনুযায়ী এগিয়ে যাবে,” বলেও তিনি মন্তব্য করেন।