বাংলাদেশ ব্যাংক আবারও তৈরী পোশাক খাতের বড় ব্যবসায়ী আবদুল কাদির মোল্লার ব্যবসায়িক হিসাবের তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছে। ৩০ নভেম্বরের ভিত্তিতে মোল্লার মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও দায়দেনার বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগ সব ব্যাংককে এই চিঠি পাঠিয়েছে, যেখানে কাদির মোল্লার বিপুল পরিমাণ ঋণ এবং বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
আবদুল কাদির মোল্লার মালিকানাধীন থার্মেক্স গ্রুপে মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জনতাসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছেন, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ঋণ পরিশোধ করেননি। ঋণের পরিমাণ ও তার অপব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ব্যবসায়িক অনিয়ম ও ঋণ পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক গত কয়েক বছর ধরেই অনুসন্ধান চালিয়ে আসছে, তবে এর আগে, ২০২২ সালে তৎকালীন গভর্নর ফজলে কবিরের হস্তক্ষেপে এই অনুসন্ধান শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখতে পারেনি।
তবে, এবার বাংলাদেশ ব্যাংক আবারও নতুনভাবে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। এতে কাদির মোল্লার বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধান আবারও নতুন করে আলোচনায় এসেছে। থার্মেক্স গ্রুপের কর্ণধার কাদির মোল্লা ২০১৩ সালে এসবিএসি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০২১ সালে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন। তবে গত বছর তিনি তার চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি নেন এবং তার শেয়ারগুলোর অধিকাংশ বিক্রি করে দিয়েছেন।
এখন প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিভাবে এই নতুন তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে কাদির মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করবে এবং এর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? এই অনুসন্ধান দেশের ব্যবসায়িক খাতে আরও স্বচ্ছতা এবং নিয়ন্ত্রণ আনতে সহায়ক হতে পারে।