মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের রোডম্যাপ এবং কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণের জানার অধিকার রয়েছে। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এ সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন।
তারেক রহমান বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও রোডম্যাপ প্রকাশ করা হলে তা জনগণের কাছে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতাকে নিশ্চিত করবে। কিন্তু রোডম্যাপ ঘোষণার কথা শুনলেই যদি উপদেষ্টাদের চেহারায় অস্বস্তি ফুটে ওঠে, সেটি গণ-আকাঙ্ক্ষাবিরোধী হিসেবে বিবেচিত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজে গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জবাবদিহিমূলক সরকার এবং কার্যকর সংসদ না থাকলে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। জনগণ শক্তিশালী না থাকলে জাতীয় ঐক্যও শক্তিশালী হতে পারে না।”
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটি বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ। এজন্য ইতোমধ্যে বিএনপি ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য রাষ্ট্রকে শিশু, নারী, বৃদ্ধ এবং দলমত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব গ্রহণে বাধ্য করা।”
তিনি আরো বলেন, “গণতান্ত্রিক চর্চার অভাবই রাষ্ট্রকে দুর্বল করে তুলেছে। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত সংসদই গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু হতে হবে। আমাদের নেতাকর্মীদের জনগণের সঙ্গে থাকার পাশাপাশি তাদের আস্থার সঙ্গী হয়ে কাজ করতে হবে।”