সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন

কিশোরগঞ্জে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতির ওপর লেখা জয় বাংলা মুছে দিল ছাত্রদল

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
ছাত্রজনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গত (৫ আগস্ট) স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। সেদিন আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছিল বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ। আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা। স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটে। আর এসব হতাহতের ঘটনার স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রং-তুলি দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বিভিন্ন স্থাপনার দেয়ালে ছবি, গ্রাফিতি ও লেখনিতে তুলে ধরে ছাত্রজনতা।

সম্প্রতি ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। কিন্তু হঠাৎ করে কিশোরগঞ্জ জেলা লীগ অফিস, আলোর মেলা, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, নির্বাচন অফিসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে যেখানে ছাত্রদের গ্রাফিতি অঙ্কন করা ছিল সেখানে ‘জয় বাংলা’ লিখা হয়েছে। রাতের অন্ধকারে এই স্লোগানটি লিখে দুষ্কৃতিকারীরা। এরপর ফেসবুকে তা ছড়িয়ে পড়ে। এতে শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে ‘জয় বাংলা’ লিখাটি স্প্রে পেইন্ট ব্যবহার করে মুছে দেন গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াদ আহমেদ।

রিয়াদ আহমেদ বলেন,আমরা বিপ্লবের পরবর্তী সময়ে মানুষকে জাগিয়ে তোলার জন্য, মানুষকে সৎ আদর্শের দিকে টেনে আনার জন্য যেসব দেয়ালে দেয়ালিকা করেছিলাম, সেসব দেয়ালে জয় বাংলা শ্লোগান লিখে আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, যুবলীগ বিতর্ক সৃষ্টির করছে। যে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করা হয়েছে, ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করা হয়েছে, ছাত্র-জনতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, এই শ্লোগান বাংলাদেশের শ্লোগান হতে পারে না। যারা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে আবার বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে, সেইসব ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীদের ছাত্র-জনতা প্রতিহত করবে।জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী শহরে জয় বাংলা শ্লোগান লেখার বিষয়ে বলেন, জেলার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভাল আছে। আমরা সবসময় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভাল রাখতে ১৩টি থানায় সচেষ্ট রয়েছি। যে কোন সময় যে কেউ অপরাধ করলে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ কাজ করছে।

এদিকে গত ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জে গ্রাফিতির ওপর ‘জয় বাংলা’ লেখার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের মামহুদুল হাসান লিটন ও ছাত্রলীগের আলমগীর হোসেন নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মামহুদুল হাসান লিটন জেলা শহরের গাইটাল এলাকার আব্দুল সুবান মিয়ার ছেলে ও আলমগীর হোসেন রশিদাবাদ বাটগাঁও গ্রামের ইবরাহীম হোসেনের ছেলে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page