মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পাকুন্দিয়ায় ঘুষে বয়স বাড়িয়ে ভোটার হওয়ার চেষ্টা, বরখাস্ত দুই কর্মচারী, মামলা চারজনের বিরুদ্ধে কটিয়াদীতে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ দুই যুবক গ্রেপ্তার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও ‘কালবেলা’ পত্রিকার প্রতিনিধি বদরুল আলম গ্রেপ্তার: সমাজসেবক ও সাংবাদিককে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরায় জনমনে প্রশ্ন কিশোরগঞ্জে মুখে কা‌লো কাপড় বেঁধে আ. লীগের ঝটিকা মিছিল পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম কিশোরগঞ্জে আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলা আহত ৭ ভৈরবে যাত্রী সেজে গাঁজা পাচার: ২ নারী আটক কিশোরগঞ্জে শিক্ষকের ভুলে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারছে না ১০ শিক্ষার্থী ভৈরবে ৪২ লক্ষাধিক টাকার গাঁজসহ দুই মাদককারবারি আটক ভৈরবে ভিন্ন ধর্মের নারী পুরুষ গ্রেফতার

সব স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও বহাল আ.লীগ কার্যালয়

খুলনার পাইকগাছার মধুমতি পার্ক। বিভিন্ন সময়ে পার্কটির জায়গা দখল করে তৈরি করা হয় স্থাপনা। করা হয় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কার্যালয়।

স্থাপনা উদ্ধারে আদালতের দ্বারস্ত হন সুধী সমাজ। অবশেষে স্থাপনা উচ্ছেদে রায় দেন আদালত। রায় অনুযায়ী সব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও বহাল তবিয়তে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কার্যালয়। এতে করে স্থানীয়দের মাঝে বাড়ছে ক্ষোভ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮০ সালে মধুমিতা পার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালে পার্কের জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা করে এক শ্রেণির লোক। এর প্রতিবাদে গঠিত হয় মধুমিতা পর্ক সংরক্ষণ কমিটি। হয় ব্যপক আন্দোলন ও সংগ্রাম।

অবৈধ দখলদারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পাইকগাছার সহকারী জজ আদালতে মামলা করা হয়। নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। এতেও টনক নড়েনি দখলকারীদের। আদেশ অমান্য করে দোকানঘর নির্মাণ ও ব্যবসাবাণিজ্য করে যাচ্ছিল তারা। এর জেরে ২০০৫ সালে সংরক্ষণ কমিটি হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন। একই বছরের ২৪ মে মধুমিতা পার্কের অভ্যন্তরে অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তাতেও টনক নড়েনি দখলকারীদের।

পরে ২০২৩ সালে মে মাসে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে ফের পিটিশন করা হয়। তখন আদালত ২০ দিনের মধ্যে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে পার্কটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। এর জেরে একই বছরের ২০ মে খুলনা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিন উচ্ছেদ অভিযান চালায়। উচ্ছেদ করেন অবৈধ স্থাপনাগুলো। তবে উচ্ছেদ করা হয়নি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়।

বিষয়টি নিয়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে জেলা পরিষদকে লিখিতভাবে জানানো হয়। জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অনুরোধ করেন। এরপর পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহেরা নাজনীন বলেন, ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page